December 5, 2024

শবে কদর সম্পর্কে হাদিস | লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস (৯টি সহীহ হাদিস) – purepdfbook

শবে-কদর-লাইলাতুল-কদর-সম্পর্কে-হাদিস-purepdfbook

লাইলাতুল কদরের হাদিস, লাইলাতুল কদরের আমল, লাইলাতুল কদরের আমল সমূহ, লাইলাতুল কদরের রাত চেনার উপায়,লাইলাতুল কদরের দোয়া, লাইলাতুল কদর কত তারিখে, লাইলাতুল কদর শবে কদর, পবিএ লাইলাতুল কদর, লাইলাতুল কদরের বৈশিষ্ট্য

লাইলাতুল কদর বা শবে কদর রাত নিয়ে অনেক হাদিস রয়েছে, এরাতের গুরুত্ব বুঝতে হলে আপনাকে হাদিস গুলো পড়তে হবে।
শবেকদর / লাইলাতুল কদরের রাতের ফজিলাত জানতে হলে নিচের হাদিসগুলো পড়ুন।

নবীজি হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর কয়েকটি হাদিস দেওয়া হলোঃ

হাদিস নং ১। 👉 দাউদ শরিফে উল্লেখ রয়েছে, হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেনঃ
 “যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর পেলো কিন্তু ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে কাটাতে পারলো না, তার মতো হতভাগা দুনিয়াতে আর কেউ নেই। কদরের রাতের ইবাদতের সুযোগ যাতে হাতছাড়া হয়ে না যায় সেজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ দশদিনের পুরো সময়টাতে ইতেকাফরত থাকতেন। (“মুসলিম, হাদিস নং: -১১৬৭”)

হাদিস নং ২। 👉 ইবনে মাজাহ শরিফে উল্লেখ রয়েছেঃ
 হযরত রাসূল (সা.) বলেনঃ “যে লোক শবে কদর থেকে বঞ্চিত হয় সে যেন সমগ্র কল্যাণ থেকে পরিপূর্ণ বঞ্চিত হল”।

হাদিস নং ৩। 👉 হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যদি কেউ লাইলাতুল কদর খুঁজতে চায় তবে সে যেন তা রমজনের শেষ দশ রাত্রিতে খোঁজ করে। (মুসলিম, হাদিস নং : ৮২৩)। তাই আমাদেরকে ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রমজানের রাতগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

হাদিস নং ৪। 👉 মিশকাত শরিফে রয়েছেঃ হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত।
 মহানবী (সা.) এরশাদ করেনঃ “”যদি তোমরা কবরকে আলোকময় পেতে চাও, তাহলে লাইলাতুল কদরে জাগ্রত থেকে ইবাদত কর। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো এরশাদ করেন,  যদি কেউ ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব লাভের খাঁটি নিয়তে লাইলাতুল কদর কিয়ামুল্লাইল বা তাহাজ্জুদে অতিবাহিত করে তবে তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করা হবে। (“বুখারি হাদিস নং: -৬৭২”)

হাদিস নং ৫। 👉 হাদিস শরিফে বর্ণিত রয়েছেঃ “”শবে কদরে হজরত জিবরাইল (আ.) ফেরেশতাদের বিরাট এক দল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন, এবং যত নারী পুরুষ নামাজরত অথবা জিকিরে মশগুল থাকে, তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। (“তাফসিরে মাজহারি”)

হাদিস নং ৬। 👉 একদা হযরত উবায়দা (রা.) নবী করীম (সা.) কে লাইলাতুল কদরের রাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তখন নবীজী সেই সাহাবিকে বললেন, রমজানের বেজোড় শেষের দশ দিনের রাতগুলোকে তালাশ করো। (“বুখারি, হাদিস নং: -২০১৭”)

হাদিস নং ৭। 👉 রাসূল (সা.) আরও বলেনঃ “রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর”। (“মুসলিম হাদিস নং: -১১৬৯”)

হাদিস নং ৮। 👉 রাসূল (সা.) বলেনঃ “শবে কদরকে নির্দিষ্ট না করার কারণ হচ্ছে যাতে বান্দা কেবল একটি রাত জাগরণ ও কিয়াম করেই যেন ক্ষ্যান্ত না হয়ে যায়।
 এবং সেই রাতের ফজিলতের উপর নির্ভর করে অন্য রাতের ইবাদত ত্যাগ করে না বসে। তাই বান্দার উচিত শেষ দশকের কোন রাতকেই কম গুরুত্ব না দেয়া এবং পুরোটাই ইবাদাতের মাধ্যমে শবে কদর অন্বেষণ করা”।

হাদিস নং ৯। 👉 হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ
একদা আমি রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসূল আমি যদি কদরের রাত সম্পর্কে অবহিত হতে পারি তবে আমি কি করব? তখন রাসূল (সা.) আমাকে এই দুয়া পাঠ করার জন্য বললেনঃ “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি”। (“তিরমিজি, হাদিস নং: -৩৫১”)

বিদ্রঃ আমি আমার জানামতে কোনো হাদিসের কোনোরুপ পরিবর্তন করিনি, এই হাদিসগুলো ইন্টারনেটে থেকে সংগীত। তাই এখানে কোনো ভূলত্রুটি হলে সেটি জেনো আপনাদের মস্তিষ্ক থেকে আল্লাহ তায়ালা মুছে দেয় সেই প্রার্থনাই রইলো। আর যদি কোনো ভুল আপনার চোখে ধরা পড়ে তাহলে কমেন্ট জানাবেন দয়াকরে।

(আমাদের ব্লগের কোনো পোস্ট যদি কপিরাইটের আওতায় পড়ে তাহলে আমাদেরকে কন্টাক্ট আস থেকে প্লিজ জানাবেন, ১২ ঘন্টার মধ্যে মুছে ফেলবো।)