আসসালামু আলাইকুম।
আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন, আজকের এ পোস্ট টি শবে কদরের বা লাইলাতুল কদরের রাত চেনার সঠিক উপায় নিয়েই লিখবো।
আমরা সবাই জানি এই রাতের মর্জাদা সম্পর্কে তাইতো এ রাত চেনার উপায় জানতে এই পোস্ট টি পড়তে ক্লিক দিয়েছেন তাইনা? এই রাতেই আসমানি কিতাব আল কোরআন নাজিল হয়েছিলো আমার আপনার এবং বিশ্বের সকলের প্রিয় বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর উপর। তাই এই রাত এতো বেশী মর্জাদাবান যা আমরা এখন হয়তো বুঝতে পারবোনা কিন্তু মৃত্যুর পরে ঠিকই আফসোস করবো।
তাই এই রাতকে তালাশ করুন এবং এই রাতটিকে কাজে লাগান দুনিয়া ও আখিরাত আপনার সফল হয়ে যাবে প্রিয় ভাই। আর আপনি যদি এই রাত প্রযন্ত হায়াত পেয়েও রাতটিকে কাজে লাগাতে না পারেন তাহলে আপনার মতো হতভাগা আর কেউ থাকবেনা।
তাই এই রাতটিকে কিভাবে তালাশ করবেন, কি কি লক্ষন দেখে বুঝবেন যে এই রাতটিই শবেকদর রাত বা লায়লাতুল কদরের রাত তা নিয়েই আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
আমি যে বৈশিষ্ট্যগুলির কথা বলবো এগুলো আমার মনগড়া নয়, আমি এগুলো আপনার মতোই ইন্টারনেটে সার্চ করে পেয়েছি। তাই এগুলো সত্যি মিথ্যার দায়ভার আমার উপরে চাপিয়ে দিবেননা। তবে হ্যা এগুলো অনেক ব্লগারের লেখকরাই রেফারেন্স হিসেবে বলেছে হাদিস রয়েছে।
বৈশিষ্ট্যগুলি হলোঃ
(১) এ রাত গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।
(২) নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।
(৩) মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।
(৪) সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।
(৫) কোনো ইমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহতায়ালা স্বপ্নে হয়তো জানিয়েও দিতে পারেন।
(৬) ওই রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।
(৭) সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। দেখতে পূর্ণিমার চাঁদের মতো। (ইবনু খুজাইমা, হাদিস: ২১৯০; বুখারি, হাদিস: ২০২১; মুসলিম, হাদিস: ৭৬২)
সর্বশেষ আরেকটি মত হলোঃ মহিমান্বিত এ রজনীটি স্থানান্তরশীল। অর্থাৎ প্রতি বৎসর একই তারিখে বা একই রজনীতে তা হয় না এবং শুধু ২৭ তারিখেই এ রাতটি আসবে তা নির্ধারিত নয়। আল্লাহর হিকমত ও তার ইচ্ছায় কোনো বছর তা ২৫ তারিখে, কোনো বছর ২৩ তারিখে, কোনো বছর ২১ তারিখে, আবার কোনো বছর ২৯ তারিখেও হয়ে থাকে।
তবে হ্যা অনেক জ্ঞানী গুনীগন মনে করেন ২৬ রোজা দিবাগত রাত্রিতে মানে ২৭ তম তারাবির নামাজের রাতেই লায়লাতুল বা শবেকদর রাত হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ % থাকে, তবে অন্যান্য হাদিসগুলোতে কিন্তু বলেছে আমাদেরকে রমজানের শেষের ১০ রাত্রির বেজোড় সংখ্যার মানে ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ এইগুলোতে তালাশ করতে যে কোনদিন ঠিক লায়লাতুল কদর হবে।
একারনেই কিন্তু ইতেকাফে বসে থাকে, সঠিকভাবে শবেকদর লাভ করার জন্য। হাদিস থেকে আমরা জানতে পাই ২৭ তম রাতই ই লায়লাাতুল কদরের রাত হবে এটা ভাবা ভুল হবে, প্রতি বছরই এটি ঘুর্নায়মান থাকে, মানে এই বছরে যদি ২৭ তম রাতে পড়ে তাহলে এর পরের বছর ২১ তম রাতে হতে পারে আবার এর পরের বছর ২৯ তম রাতেও হতে পারে।
অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনো তারিখ ভেবে সেই রাতেই ইবাদত করলে তাহলে আমাদের হাত থেকে এই বিশেষ রাতটি চলে যেতে পারে, এই রাতে আপনি যা চাইবেন তা ই পাবেন এবং যা যা ইচ্ছে তা চেয়ে নিতে পারবেন।
আল্লাহ যেনো আমাকে আপনাকে এবং পৃথিবীর সকল মুসলমানকে এই রাতটি কাজে লাগানোর তৌফিক দান করে এই প্রার্থনাই করি।