December 9, 2024

শবে কদরের ফজিলত | লাইলাতুল কদরের ফজিলত – purepdfbook

শবে কদরের নামাজের ফজিলত

শবে কদরের / লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব তাৎপর্য ও আমল, শবে কদরের নামাজের ফজিলত, শবে কদর রাতের আমল, শবে কদরের ফজিলত pdf, শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য, লাইলাতুল কদরের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস, লাইলাতুল কদর সম্পর্কে

আসসালামু আলাইকুম।
আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন, আজ আমি আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করবো লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের রাতের ফজিলত গুরুত্ব তাৎপর্য ও আমল নিয়ে।
আচ্ছা চলুন শুরু করা যাক,

শবে অর্থ হলোঃ রজনী- রাত, কদর অর্থ হলো মর্যাদা – গুণাগুণ- সম্ভাবনা – ভাগ্যনির্ধারণী- মহিমান্বিত – ইত্যাদি।

অন্যদিকে লাইলাতুল অর্থ হলোঃ রজনী- রাত, কদর অর্থ হলো মর্যাদা – ভাগ্যনির্ধারণী- মহিমান্বিত – গুণাগুণ- সম্ভাবনা  ইত্যাদি। এখন দুইটি নামেরই অর্থ দাঁড়ায় কিন্তু সম্মানিত রাত বা বলা যয় মর্যাদাবান রাত।
 অনেকেই এই দুটি নাম নিয়ে বিভ্রান্ত তাই একটু ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলাম মাত্র। লাইলাতুল কদর হলো আরবি ভাষা থেকে এসেছে,  আর শবে কদর নামটি হলো ফারসি শব্দ।

কদর সম্পর্কে হাদিস | লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস (৯টি সহীহ হাদিস)

থেকে আমরা জানতে পাই,  মহানবী (সা.) এরশাদ করেনঃ “”যদি তোমরা কবরকে আলোকময় পেতে চাও, তাহলে লাইলাতুল কদরে জাগ্রত থেকে ইবাদত কর। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো এরশাদ করেন,  যদি কেউ ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব লাভের খাঁটি নিয়তে লাইলাতুল কদর কিয়ামুল্লাইল বা তাহাজ্জুদে অতিবাহিত করে তবে তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করা হবে। (“বুখারি হাদিস নং: -৬৭২”)

তারমানে এ রাত হলো এমন এক রাত যে রাতে নিজের সব পাপ মোচনের সেরা সুযোগের রাত, খাটি মনে কোনো লোক যদি মহান আল্লাহ্ তায়ালাকে ডাকেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবে, এবং নিজের সব প্রয়োজন গুলো চেয়ে নিতে পারবেন। নিজের যতো গুনাহ আছে সব ক্ষমার জন্য আল্লাহর কাছে দুচোখের অশ্রু জড়িয়ে করুন কন্ঠে বলুন নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তায়ালা ক্ষমা করবেন ইনশআল্লাহ।

লায়লাতুল কদরের ফজিলত ও মর্যাদাঃ

✍ এই রাতে আল্লাহ তাআলা সূর্যাস্তের পর  প্রথম আসমানে অবতরণ করেন এবং বান্দাদের ডেকে ডেকে বলেনঃ কে আছো অসুস্থ?  আমার কাছে চাও আমি শেফা দান করবো, কে আছো অভাবগ্রস্ত আমার কাছে চাও আমি প্রাচুর্য দান করবো,  কে আছো বিপদগ্রস্ত আমার কাছে চাও আমি বিপদমুক্ত করে দেবো।

✍ইতিকাফের প্রধান উদ্দেশ্য হলো শবে কদর লাভ করা,  শেষ দশক থেকে ইতেকাফ করলে শবেকদর প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। ইতিকাফের ব্যাক্তি তো দুনিয়াবি সংসার জামেলা – টেনশন ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর প্রেমে মশগুল হয়ে দিন রাত জিকির, নফল ইবাদত, সুন্নাত ইবাদত এগুলো নিয়ে ব্যাস্ত থাকে তাই যে রাতটাতেই শবেকদর হোক না কেন ইতেকাফের ব্যাক্তি কিন্তু ঠিকই সেই রাতটি লাভ করার সম্ভাবনা অনেক অনেক বেশীই থাকে।

শবে কদরের দোয়াসমুহ

 হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেনঃ “”যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাত জেগে ইবাদত করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে””। (বুখারি শরিফ, ইমান অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ২৫, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা ২৯-৩০, হাদিস: ৩৪)

লায়লাতুল কদর নামকরণের কারণ কি?

এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিলো, আর পবিত্র কোরআনের সসম্মানের কারনে এ রাতের এতো মর্জাদা তাই এই রাতকে লাইলাতুল কদর মানে সম্মানিত রাত, ভাগ্যনির্ধারণী রত বলা ঘোষণা করেছেন। ১০৪ খানা আসমানি কিতাবের মধ্যে আল কুরআনই হলো সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব এটি আমার আপনার নবী হযরত মোহাম্মাাদ (সাঃ) এর নাজিল হয়েছিল। এই কুরআনের সংস্পর্শে যে ই আসে তাকেই আল্লাহ তায়ালা সম্মানিত করে দেয়।

লাইলাতুল কদর কোন মাসে হয়?

বারোটি মাসের রমজান মাসে লাইলাতুল কদর হয়, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যদি কেউ লাইলাতুল কদর খুঁজতে চায় তবে সে যেন তা রমজনের শেষ দশ রাত্রিতে খোঁজ করে। (মুসলিম, হাদিস নং : ৮২৩)। তাই আমাদেরকে ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রমজানের রাতগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

হাদিস শরিফে বর্ণিত রয়েছেঃ “”শবে কদরে হজরত জিবরাইল (আ.) ফেরেশতাদের বিরাট এক দল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন, এবং যত নারী পুরুষ নামাজরত অথবা জিকিরে মশগুল থাকে, তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। (“তাফসিরে মাজহারি”)

One thought on “শবে কদরের ফজিলত | লাইলাতুল কদরের ফজিলত – purepdfbook

Comments are closed.