লেখালেখির করার জন্য কোন সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তা বিস্তারিত ভাবে জানতে এবং ডাউনলোড করতে এই পোস্টটি পড়ুন। আমার নিজের ব্লগিংয়ে সেসকল সফটওয়্যার বা এ্যাপস ইউজ করি তা সবগুলোই এই পোস্টে বলে দিয়েছি।
পরম করুনাময় আল্লাহ্ তায়ালার নামে শুরু করতেছি।
আসসালামু আলাইকুম আশাকরি, আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ নতুন একটি আর্টিকেল লিখতে বসলাম, আশাকরি লেখাটি আপনাদের উপকারে আসবে।
আমি যেভাবে লেখালেখি করি এবং যে সফটওয়্যার গুলো ব্যাবহার করি সবকিছুই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। তাই আশাকরি পোস্ট টি মনোযোগ দিয়ে শুরু থেকে শেষ প্রযন্ত পড়বেন।
লেখালেখি করার জন্য আপনার ৫ টি সফটওয়্যারের প্রয়োজন হবে, এগুলোর নাম এবং ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া হলোঃ
১। Countable Pad (Download play store Link)
২। Floating Notes (Download play store Link)
৩। Logopit Plus (Download play store Link)
৪। Picsay pro (Download play store Link)
৫। Mozilla Firefox (Download play store Link)
১। Countable Pad / কাউন্টাবল প্যাডঃ
আমি এখন যে লেখাটি লিখতেছি এটা এই নোটপ্যাডেই লিখতেছি কিন্তু। লেখালেখির জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম যেটির প্রয়োজন হবে তা হলো একটি নোটপ্যাড এ্যাপ বা সফটওয়্যারের, এখন সেটি যেকোনো নোট প্যাড এ্যাপস হলেই হয় তবে যেটি সবচেয়ে বেশী ভালো সেটিই তো আমরা সবাই ব্যাবহার করতে চাই তাইনা?
Countable Pad টির বিষেষ কিছু ফিচার আছে যেকারনে এটি আমার কাছে বেশী ভালো লাগে তা হলোঃ একটি আর্টিকেল লেখার সাথে সাথে অটোমেটিক উপরে হেডারের অংশে লেখা উঠতে থাকে কতো ওয়ার্ড লেখা সম্পুর্ন হয়েছে এবং কতো সেন্টেন্স এবং কতো ক্যারেক্টার লেখা হয়েছে তা বোঝা যায়। এবং কোনো লেখা কপি করে দেখা যায় কতো ওয়ার্ড এখানে এই বিষয়টি আমাদের সবথেকে বেশী প্রয়োজন হয়।
যখন কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখি তখন সেই বিষয়টির টাইটেলটি ১২০ ক্যারেক্টারের বেশী হলে আর্টিকেলটি র্যাঙ্ক করা কষ্টকর এবং ভিজিটরদের কাছে টাইটেলটি স্পষ্ট ও নয় তাই মেইন কথাটুকু টাইটেলে লিখে পরিমাপ করতে পারি এটি ব্যাবহার করে, এছাড়াও কম্পিটিটরদের পোস্ট গুলো কপি করে পেস্ট করে এনালাইসিস করে নিজের পোস্টের ওয়ার্ড সংখ্যা তাদের থেকে বেশী করে লিখতে পারি।
২। Floating Notes / ফ্লুটানিং নোটঃ
এই এ্যাপটি আমাকে অনেক সাহায্য করে একটি আর্টিকেল তাড়াতাড়ি লেখার জন্য। আমি যখন কোনো ইনফো আর্টিকেল লিখি তখন বিভিন্ন সাইট থেকে মেইন মেইন ইনফরমেশন গুলো কপি করে রাখতে হয়, এবং সেগুলো আমার পোস্টের মধ্যে ইনক্লুড করতে হয়। যখন আমি বিভিন্ন সাইট ভিজিট করি তখন সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যটুকু কপি করে ব্যাকবাটনে বা হোমবাটনে ক্লিক করে কেটে দিয়ে নোটপ্যাড সফটওয়্যারে প্রবেশ করে তথ্যগুলো সেভ করে রাখতে হয়না, এভাবে বার বার কোনো তথ্য সেভ করা ঝামেলাকর তাই এ ঝামেলা থেকে মুক্তি দিবে Floating Notes সফটওয়্যারটি।
এটি ব্যাবহার করার জন্য এ্যাপটি রান করে দিলেই নোটিফিকেশন বারে থেকে যাবে, তখন কলম আইকনে ক্লিক করলেই একটি ছোট্ট লাইট আইকন শো হবে, সেখানে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্যটুকু পেস্ট করে দিয়ে আবার আইকনে ক্লিক করলেই ট্যাবটি ছোট হয়ে আইকন হয়ে থাকবে। আবার অন্য ওয়েবসাইট ভিজিট করে প্রয়োজনীয় তথ্য পেলে সেম ভাবে আইকনে ক্লিক করলেই ট্যাবটি ওপেন হয়ে যাবে তখন পেস্ট করে আবার আইকনে ক্লিক করলেই হাইড হয়ে আইকন হয়ে থাকবে। এবং সর্বশেষ আপনি সম্পুর্নটুকু কপি করে নোটপ্যাডে নিয়ে সেভ দিয়ে রাখবেন।
ফ্লুটানিং নোটস এ্যাপটি যাদের ফোনের র্যাম কম তাদের জন্য তো অনেক অনেক প্রয়োজন, কারন স্লো ফোনগুোতে অথবা অল্প র্যামের মোবাইলগুলো দিয়ে যখন ইন্টারনেট চালানো হয় তখন ব্রাউজারের এক ট্যাব থেকে অন্য ট্যাবে যাওয়ার পরে আবার প্রথম ট্যাবটি ওপেন করলে দেখা যায় প্রথম থেকে রিলোড না নিলে দেখা যাবেনা, এই জামেলা থেকে মুক্তি পেতে আপনি এই এ্যাপটি ইউজ করতে পারেন অনেক উপকারে আসবে আশাকরি।
৩। Logopit Plus / লগোপিট প্লাসঃ
লেখালেখি করার পরে আর্টিকেলটিকে আপনি ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেন বা ফেসবুকে বা টুইটারে কথা হলো যেখানেই পোস্ট করেন না কেনো সুন্দর একটি পিকচার প্রয়োজন হবে, নাহলে তো আপনার পোস্ট টি বেশী মানুষে পড়বেনা আর আর্টিকেলটিও সার্চ ইন্জিনে র্যাঙ্ক ও করবেনা।
সুতরাং আপনাকে পোস্ট রিলেটেড সুন্দর একটি ইউনিক পিকচার তৈরী করতে হবে, এর জন্য লগোপিট প্লাস এ্যাপটি খুবই কার্যকারী; আমি এটি ২ বছর যাবত ব্যাবহার করে আসছি। এই এ্যাপটির পুরনো ভার্সনগুলো অনেক ভালো বর্তমান ভার্সনের তুলনায়, সুতরাং আপনি চাইলে বর্তমান ভার্সনটি ইউজ করে দেখতে পারেন ভালো না লাগলে ওল্ড ভার্সন ডাউনলোড করে নিবেন apk pure সাইট থেকে।
৪। Picsay pro / পিকসে প্রোঃ
লগোপিট দিয়ে ইউনিক পিকচারটি তৈরী করলে সাইজ হতে পারে প্রায় ৩০০ কেবি প্লাস, যারা ব্লগিং করেন তাদের সাইটের হোস্টিংয়ের পরিমান একটা নির্দিষ্ট পরিমানের হয়ে থাকে, সুতরাং পিকচারটি ৩০০ কেবি না রেখে ৬০-১০০ কেবির স্ট্যান্ড কোয়ালিটিতে রেখে কনভার্ট করে দিলেই হোস্টিং কম ইউজ হবে। আর সাইটের মেমোরির স্পেস যতো কম রাখা যায় ততোই নাড়াচাড়া করতে সুবিধা হয়, সুতরাং এ কারনেই পিকচারের সাইজ কমিয়ে আপলোড করার প্রয়োজন হয়, আর এ কাজটি সম্পুর্ন করার জন্য Picsay এ্যাপটির তুলনাই হয়না।
৫। Mozilla Firefox / মজিলা ফায়ারফক্সঃ
আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন, আর আপনার ওয়েবসাইটটি যদি Blogger.Com এ তৈরী করা হয়ে থাকে তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে এই এ্যাপটির।
আপনি যদি ক্রোম বা অন্যান্য ব্রাউজার গুলো থেকে নতুন একটি পোস্ট করার জন্য নোটপ্যাড থেকে আর্টিকেল বা লেখাটিকে কপি করে পেস্ট করেন তাহলে আপনার সেন্টেন্স বা প্যারাগ্রাফগুলো সুন্দরভাবে না থেকে ফাকা ফাকা স্পেস হয়ে থাকবে যার ফলে পোস্টটি করার পরে ভিজিটররা রিড করতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়, এবং তাদের আর ওই ব্লগটির অন্যান্য পোস্ট পড়ার ও মন মানসিকতা থাকেনা।
এ ছড়ানো ছিটানো বা ফাঁকা ফাঁকা ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে Mozilla Firefox এ্যাপটি ব্যাবহার করুন, এবং এটি দিয়ে পোস্ট করুন আশাকরি সব ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন ইনশআল্লাহ।
পোস্ট টি ভালো লাগলে আমাদের সাইটটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন প্লিজ ❤ 💟