মধ্যবিত্ত পরিবার নিয়ে সেরা একটি উপন্যাস, Bangla pdf book download | বইটির লেখকঃ কিঙ্কর আহ্সান। PDF Size: 4 mb.
মধ্যবিত্ত বই রিভিউঃ
অসাধারণ সুন্দর প্রচ্ছদের লেখাটা আমি তিনবার করে পড়বার পর ‘মধ্যবিত্ত’ উপন্যাস পড়া শুরু করেছিলাম।
* রাতে বাইরে চাঁদ উঠেছে মুগ্ধ হয়ে মরে যাবার ইচ্ছা জাগার মতন চাঁদ।আমার নানুর ভাত খাবার থালার মতন চাঁদটা। অনেক বড়। অনেকটা বড়। মাটির পৃথিবীর কাছাকাছি খুব।
লেখকের লেখায় এই দিয়ে মুগ্ধতা শুরু। নকুলদানা,কলিজা সিঙারা সাথে নিজাম চাচার চা,সাইকেলে করে শিকারপুরের চড়ুইভাতি আমার মনে উপন্যাসের নায়কের জায়গা নেওয়ার ইচ্ছা জাগিয়েছে।মনে হচ্ছিল ইশ!! আমি যদি ঐ জায়গায় থাকতে পারতাম। ইলিশ মাছের ডিম,কলমি শাক,জলপাই,আচারের তেল,ঘন ডাল মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন মায়ের রান্না করা এসব আমার মায়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
একজন মধ্যবিত্ত ছেলের স্বাভাবিক জীবনে বাটার জুতো প্রিয়তা,ব্যাংকে লাইন দাঁড়ানো এগুলোর মধ্যেও নিজেকে খুঁজে পেয়েছি। “আমার মাকে,জীবনের কোনো যুক্তি দিয়ে বাঁচতে বাঁধতে চাই না,আমার জীবনের সবচেয়ে জরুরি মা।মাকে নিয়ে কোনো হেলাফেলা,কোন পরীক্ষা,কোনো সূত্রে আমি যেতে রাজি নই”- ভালবাসা জুগিয়েছে মনের মধ্যে,কথাটা।
* মধ্যবিত্তের ছেলেদের ভালো থাকার ওষুধ একটাই।
ইচ্ছেটা ভূলে থাকা।ভূলে থাকলেই ভালো থাকা যায়।
*নষ্ট শহরে চায়ের কাপের ধোঁয়া না হয়ে বেঁচে থাকার স্বাদ পেতে পান্তার সাথে সালুন হতে চেয়েছিলাম। আমার হয়নি। হলোনা। যাওয়ার কথা ছিল অরণ্যে। হওয়ার কথা ছিল সুতানালি সাপ,বুনো হনুমান,চিত্রা হরিণ কিংবা ভেজা ঘড়িয়াল। আমার এমন হয়নি। হলোনা। লেখকের বর্ণনা করা এমন অসম্ভব সুন্দর কথাগুলি আমাকে এক অতি সুন্দর ঘোরের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছে।
পঁচাত্তর নম্বর পৃষ্ঠায় মাহবুবার টেলিফোন আমাকে ‘ভালোবাসা’ শব্দ শুনিয়েছে। আহা! ভালবাসা।
অপু,মামা,রুবি,সন্দীপ মুখার্জি,মাহবুবা,বুনো সবাই অনেক ভালবাসার চরিত্র। অপুদার আবির্ভাব যেন দুঃখের সময় এক ভাইয়ের কাজ করেছে। সন্দীপ মুখার্জির জন্য ভালবাসা। মামা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সবটা সামলে রেখেছিলেন। রুবি সবচেয়ে সুন্দর,সবচেয়ে নিষ্পাপ।ছোট মেয়েটার জন্য মায়া হয়। বাবা, বুনো, আকাশ মামা কাজগুলো ঠিক করেনি। একদম ঠিক করেনি। আফসোস। মা যেন হাসপাতালের বেডে থেকেও সবচেয়ে ভালবাসার।
* কালাই রুটি দরকার। মাষকলাই আর চাল দিয়ে তৈরি রুটি। সাথে থাকবে বেগুন ভর্তা,কাঁচা মরিচের ভর্তা আর ধনে পাতার রস। মা একটা কালাই রুটি খেয়ে শেষ করতে পারেন না। বাকিটা আমাকে খেতে হবে।তিনি বলেছিলেন,”মরার আগে আমার পাশে থাকবি কালাই রুটি নিয়ে। বানেশ্বর দিয়ে রাজশাহী যাওয়ার পথে খাওয়া হইল একবার। কি স্বাদ!”
*মা বলেছে,”আমারে গ্রামে মাটি দিস। কবরের পাশে গাছ লাগাবি। ছায়া-ছায়া,ঠান্ডা থাকবে।আমার গরম সহ্য হয়না বাবা।”
চোখ জল চলে আসল এই দুটো পড়ার পর।
মা,মা ও মা। মাগো, ওমা। ডাক হয়তো থেমে যাবে,মাহবুবার সাথে কীর্তনখোলার পাড়ে চওমিন খাওয়া হবে না,রুবি হয়তো চকলেট খাওয়া ছেড়ে দেবে,শিকারপুরে আর হয়তো চড়ুইভাতি হবে না।
‘মধ্যবিত্ত’ আমাদের গল্প। আমাদের নিজেদের। এ গল্প ভূলবার নয়,বারবার মনে করার,বারবার ভালবাসার,বারবার চোখের জলে ভেজার।
‘মধ্যবিত্ত’ ভালো থাক। ভালবাসা রইল।
বইয়ের বিবরণ
বইয়ের নামঃ মধ্যবিত্ত
লেখকঃ কিঙ্কর আহ্সান
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১১২ টি।
ক্যাটেগরিঃ উপন্যাস
পিডিএফ সাইজঃ ৪ মেগাবাইট প্রায়।
রকমারি থেকে ক্রয় করার লিঙ্কঃ মধ্যবিত্ত বই
#বইটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত। #লেখকের ক্ষতি আমাদের কাম্য নয়, বইটির হার্ড কপি কেনার সমর্থ থাকলে বইটির হার্ড কপি কিনে পড়ুন।
#(আমাদের ব্লগের সমস্ত বইগুলো ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত। লেখকের বা প্রকাশনীর যদি কোনো বইয়ের PDF নিয়ে অভিযোগ থাকে তাহলে দয়াকরে জানান, আমাদেরকে জানানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যে PDF টি রিমুভ করে দিবো।) ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ পোস্ট টি পড়ার জন্য।