বিটকয়েন ব্যবসা কি- বিটকয়েন কি ও কেন, বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ 2022-23 – ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা, বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে, বিটকয়েন বাংলাদেশ. বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ – বিটকয়েন উপার্জন- বিটকয়েন থেকে বিকাশ – বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ- বিটকয়েন ওয়েবসাইট- বিটকয়েন এর দাম – বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ ২০২১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
প্রিয় ভিজিটরগন আজকে আমি আপনাদের সাথে খুবই চমৎকার একটি বিজনেস নিয়ে কথা বলবো, যেটার ভবিষ্যত অনেক উজ্জ্বল।
পোস্টটি সম্পূর্ন মনোযোগ দিয়ে পড়বেন, ভালোভাবে না পড়েই বা শেষের অংশের একটু পড়েই ব্যাবসার উদ্দেশ্য ঝাপ দিয়েন না, নাহলে অনেক বড় লস হয়ে যেতে পারে আপনাদের।
বিটকয়েন ব্যবসা কি?
প্রথমেই আমরা জানবো বিটকয়েন ব্যাবসা কি, এটি হলোঃ আপনি ১০ টাকার বিটকয়েন (পয়সা কিনলেন কয়েকদিন পরে ওইগুলো বিক্রি করলেন ১২-১৫ টাকায় এটিই হচ্ছে বিটকয়েন ব্যাবসা।
বিটকয়েন ব্যাবসা ৩ পদ্ধতিতে করা যায়।
১। ডলার বাইসেল ওয়েবসাইট তৈরী করে।
২। কয়েনবেস একাউন্টে জমা করে।
৩। বাইনান্স একাউন্ট জমা করে বা ট্রেড করে।
১। ডলার বাইসেল ওয়েবসাইট তৈরী করেঃ
এই পদ্ধতিতে আপনাকে সর্বপ্রথম একটি ডলার বাইসেল ওয়েবসাইট তৈরী করতে হবে, তারপর বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইটের এডমিনদের সাথে কন্টাক্ট করে কিছু পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে মার্কেটিং করাবেন আপনার ডলার ক্রয় বিক্রয় ওয়েবসাইটটির।
এরপরেই দেখবেন কাস্টমার আসতে শুরু করে দিয়েছে, কেউ ডলার ক্রয় করতে আসবে আবার কেউ বিক্রি করার জন্য আসবে। আপনি মনে করুন, ৯০ টাকা দরে ১ ডলার বিটিসি ক্রয় করলে বিক্রি করবেন ১০০ টাকা দরে। এভাবে প্রতিটি আইটেমের ডলার ক্রয় বিক্রয় করবেন। (শুরু করার আগে কোনো হেল্প লাগলে নক দিবেন, সাহায্য করার চেষ্টা করাবো ইনশআল্লাহ)
২। কয়েনবেস একাউন্টে জমা করেঃ
বিটকয়েন Bitcoin এর মূল্যে সব সময় কমা বাড়া করতে থাকে (অনেকটা সবজি বাজারের মতো 😊) বিটকয়েন বিজনেস করার আগে একটু পড়াশোনা করে নিবেন এ পয়সা সম্পর্কে, যখন দেখবেন বিটিসি কয়েনের রেট কম তখন কিনে রাখতে পারেন পরে যখন রেট হাই হবে তখন বিক্রি করবেন।
Coinbase একাউন্ট করা খুবই সহজ, এই একাউন্ট আপনি প্রায় সকল ধরনের জনপ্রিয় কয়েনগুলো জমা রাখতে পারবেন। প্লেস্টোরে Coinbase লিখে সার্চ করলেই এ্যাপটি পেয়ে যাবেন।
এরপরে সব অরজিনাল তথ্য দিয়ে একাউন্ট ওপেন করে ফেলবেন। এরপরে বিশ্বস্ত বা পরিচিত যারা বিটকয়েন আর্ন করে তাদের কাছ থেকে রেগুলার মূল্যে ক্রয় করে রাখবেন। এবং কয়েনবেস একাউন্টের গ্রাফের দিকে নজর রাখবেন যখন দেখবেন রেট বেড়ে গেছে তখন বিশ্বস্ত ডলার বাইসেল ওয়েবসাইটে সেল করে দিবেন।
(শুরু করার আগে হেল্প লাগলে জানাবেন আমাদের ফেসবুক পেজে, সাহায্য করার চেষ্টা করাবো ইনশআল্লাহ)
৩। বাইনান্স একাউন্ট জমা করে বা ট্রেড করেঃ
কয়েনবেসের মতোই আরেকটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলো বাইনান্স যেখানে ডলার মানে ক্রিপ্টোকারেনসি গুলো ক্রয় করার জন্য বাহিরে যাওয়া লাগেনা আবার বিক্রি করার জন্য থার্ডপার্টি কোনো ওয়েবসাইটে যেতে হয়না।
বাইনান্সে Btc, Ltc, Eth Dogi, Trx Etc কয়েনগুলো জমা রাখতে পারবেন।
বাইনান্সে একজন ট্রেডার হয়ে আপনি চাইলেই, ক্রিপ্টোকারেনসি ডলার গুলো বাই সেল করতে পারবেন এতে আপনার অধিক পরিমাণে লাভ হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বিটকয়েন ব্যবসা কাদের জন্য উপযোগী?
আমাকে যদি এমন কোনো প্রশ্ন করেন তহলে আমি বলবো যাদের পিছু টান নেই এবং যাদের প্রচুর ধৈর্য সহিয্যু রয়েছে তারাই কেবল এই বিজনেস করতে পারেন। এখানে আপনাকে মনে রাখতে হবে রাতের পরে দিন রয়েছে আবার দিনের পরে রাত রয়েছে।
যেমনটা সুখ ও দুঃখ একমায়ের পেটের দুই ভাই যারা একে অন্যকে ছেড়ে থাকতে পারেনা।
(আমি আপনাকে মোটিভেট করার উদ্যেশ্যে বলছিনা শুধুমাত্র বাস্তব বিষয়টিকে জানাচ্ছি, আপনি ৫,০০০ টাকার ডলার কিনে রাখলেন রেট যখন ছিলো, কিন্তু ১মাস ২মাস পরেও দেখতেছেন রেট বাড়তেছেনা তখন যদি হায় হুতাশ করতে থাকেন আর লসেই বিক্রি করে দেন তাহলে তো পারলেননা।
বর্তমান সময়ে ১ লাখ বিটিসি সাতোশি মূল্য ডলারে ২০-২১ $ কিন্তু ৬-৮ মাস আগে এই একই পরিমানে সাতোশিতে ডলার মূল্যে ছিলো ৫০-৬০ $ তাহলে ভাবুন কোথা থেকে কোথায় যেতে পারে।
যাহোক এ ব্যাবসায় নামতে হলে কমপক্ষে ১৫ দিন এ নিয়ে পড়াশোনা এবং রিসার্চ করুন।
(কোনো কিছু বুঝতে না পারলে কমেন্ট টুপ করে লিখে সাবমিট করুন আর ১-১২ ঘন্টা পরে কষ্ট করে একবার চেক করবেন তাহলেই দেখবেন উত্তর দিয়ে দিয়েছি)