বাচ্চা পেটের কোন দিকে থাকে, ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে? – নাভি কেমন হলে ছেলে হয়, গর্ভাবস্থায় ছেলে/মেয়ে বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে? ছেলে হবে না মেয়ে বলে দেবে সহজ এই পরীক্ষা
আমরা যদি ২০ পূর্বের কথা চিন্তা করি তাহলে দেখা যাবে তখনকার সময়ে বৈজ্ঞানিক পরিক্ষা নিরিক্ষা ছিলোনা তেমন। তাই গর্ভবতী নারীরা জানতে পারেনি তাদের পেটের ভ্রুনটি ছেলে সন্তান নাকি মেয়ে সন্তানের।
এটি জানার জন্য ওইসময়টা থেকেই মানুষের জল্পনা-কল্পনা যে কিভাবে জানা যায়; অনেক দিনের এই জানার প্রচেষ্টার ফলেই তারা সক্ষম হয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে কিছু বিশেষ লক্ষ্যে দেখেই চিন্হিত করা যায় ভ্রুনটি ছেলে সন্তানের নাকি মেয়ে সন্তানের। আজকে আমরা জানবো কোন কোন লক্ষন দেখলে বুঝবেন আপনার গর্ভের বাচ্চাটি ছেলে শিশু।
অনেক দেশেই গর্ভবতী নারীর ভ্রুন ছেলে শিশুর নাকি মেয়ে সন্তানের তা পরিক্ষা করা বেআইনি, কোনোভাবে যদি প্রশাসন জানতে পারে তাহলে তাদের শাস্তি পেতে হয়। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে পরিক্ষা না করেই জানা যায় গর্ভবতী নারীর শিশুটি ছেলে শিশুর কিনা তা ঘরে বসেই জানতে পারলে তো মন্দ হয়না।
(১) গর্ভাবস্থ নারীর নিচু পেট হলেঃ
অনেকেই মনে করে থাকেন যে, গর্ভবতী নারীর পেট যদি নিচু হয়ে থাকে মানে খুব বেশী উচু না দেখায় তাহলে ছেলে সন্তান হবে। এটি একবারেই ভ্রান্ত ধারনা আসলে ২য় বা ৩য় বার গর্ভবতী হলে তখন সেই নারীর পেট ১ম বার গর্ভবতী হওয়ার চেয়ে কম উচু হতে পারে, বা অধিকাংশ মহিলাদের এমনই দেখা যায় এটি দিয়ে লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়না।
(২) গর্ভাবস্থ অবস্থায় যদি পেটের সন্তানটা একটু নিচের দিকে থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার পুত্র সন্তান হবে।
ছেলে বা মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ গুলো | গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে ঘরে বসেই জানুন
(৩) ছেলে শিশু যখন নড়ে তখন বেশি লাথি মারেঃ
ছেলে শিশুরা বোধহয় মায়ের পেট থেকেই ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে পৃথিবীতে, ছেলে শিশুরা মায়েদের পেটে খুব জোরে লাথি মারে এবং খুব বেশী লাথি মারতে থাকে এই লাথি মারার গতি থেকে মায়েরা বলে দিতে পারে শিশুটি ছেলে শিশু নাকি মেয়ে শিশু হবে।
(৪) শিশুটির নড়াচড়া যদি তাড়াতাড়ি শুরু হয়ঃ
যদি গর্ভে ছেলে শিশু থাকে তাহলে ১৬-২০ সপ্তাহের মধ্যেই নড়াচড়া শুরু করে। সাধারণত মেয়ে শিশুর তুলনায় অনেক আগেই নড়াচড়া করতে শুরু করে ছেলে সন্তানেরা।
(৫) বাচ্চা যদি খুব ছটফটে হয়ঃ
মেয়ে শিশুকে অনেকেই মনে করেন এরা ছেলে শিশুর থেকে ও বেশী শক্তিশালী, এই তথ্যটি বৈজ্ঞানিক মতেও প্রমাণিত যে ছেলে শিশুর তুলনায় মেয়ে শিশুর ভ্রুন অনেক বেশী শক্তিশালী।
মেয়ে ভ্রুণে যেহুতু XX ক্রোমসোম থাকে, তাই ছেলে থেকে বেশি শক্তিশালি হয়ে থাকে; এর ফলেই মেয়ে শিশু গর্ভে অনেক বেশি নড়াচড়া করে। আধা ঘণ্টায় যদি (৩ বার) ভ্রুণের আন্দোলন হয় তাহলে সেটাকে স্বাভাবিক মনে করা হয়। তবে এর থেকে যদি বেশি নড়াচড়া করলে বুঝতে হবে মেয়ে সন্তান হবে।