November 1, 2024

ছেলে বা মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ গুলো | গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে ঘরে বসেই জানুন

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে? – ছেলে / মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণগুলো, ছেলে হবে না মেয়ে বলে দেবে সহজ এই পরীক্ষা, পুত্র সন্তান হওয়ার লক্ষণ – মেয়ে হওয়ার লক্ষণ, গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে – আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়, ছেলে সন্তান কত মাসে হয়, গর্ভের শিশু ছেলে না মেয়ে এটা জানার জন্য সোডা ও প্রস্রাব টেস্ট কীভাবে করতে হয়

গর্ভস্থ সন্তান ছেলে হবেনা মেয়ে, ডাক্তারি পরীক্ষা না করেই বাড়িতে বসেই এই লক্ষণগুলো মিলিয়ে জেনে নিন।

ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ গুলোঃ

১। লবনাক্ত এবং টকজাতীয় খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষাঃ

গর্ভাবস্থায় মায়েদের কিছু মিনারেলসের ঘাটতির কারনে অদ্ভুত অদ্ভুত খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বেশী  থাকে। এই বিভিন্ন জিনিস খাওয়ার ইচ্ছের ভিতরে বাচ্চার লিঙ্গের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে অনেকে মনে করে গর্ভে কন্যা সন্তান থাকলে মিষ্টি খাবার খেতে বেশ ইচ্ছে করে। মিষ্টি খাবারের পরিবর্তে টক জাতীয় ও লবন জাতীয় খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা যদি বেশী থাকে তাহলে পুত্র সন্তান হবে বলে মনে করা হয়। (লবনাক্ত এবং টকজাতীয় খাবার খেলে যে ছেলে সন্তান হবেই তা কিন্তু নিশ্চিত নয়, এগুলো আমাদের দেশের বুড়ো মা চাচি দাদিরা মনে করেন মাত্র)

২। ত্বকে ব্রন ও তৈলাক্ততাঃ

যদি কোনো গর্ভবতী মায়ের ত্বকে তৈলাক্ত ভাব দেখা যায় অথবা ব্রনের পরিমান অনেক বেড়ে যায় তাহলে এ দ্বারা তার গর্ভে ছেলে সন্তান আছে নাকি মেয়ে সন্তান আছে তার সঠিক খবর জানতে পারবেননা, কারন এগুলোর সাথে সন্তান লিঙ্গের কোনো সম্পর্ক নেই। হরমোনের প্রভাবেই ত্বক তৈলাক্ত বা ত্বকে ব্রন হতে দেখা যায়। গর্ভবতী মহিলাদের অ্যান্ড্রোজেন নামক হরমোনের পরিমান বেড়ে যায় এর ফলে দেখা যায় সিরাম উৎপন্ন বেশী হয়। এই সিরাম ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দেয় একারনে ব্রন ওঠার পরিমাণ বেড়ে যায়।

৩। গর্ভবতী নারীর পেটের বাচ্চার দ্রুত হৃদস্পন্দন হারঃ

অনেক পিতামাতা খুব আগ্রহের সাথে ডাক্তারের কাছে যান গর্ভস্থ বাচ্চার হৃদস্পন্দন হার কত তা জানার জন্য, তারা অনেকের কাছে আগেই শুনেছে যে বাচ্চার এই হৃদস্পন্দন হার যতো বেশী হবে ততোই বেশী কন্যা বা মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশী হবে।
অনেকেই মনে করেন যে, গর্ভস্থ বাচ্চার হৃদস্পন্দন হার প্রতি মিনিটে ১৪০+ হলে বাচ্চাটি মেয়ে সন্তান, কিন্তু এটি তাদের ভুল ধারনা। গর্ভবতী নারীর ভ্রুনের/ বাচ্চার হৃদস্পন্দন হার মায়ের মতো ৮০ থেকে ৮৫ এর মধ্যে থাকে। এরপরে নবম (৯ম) সপ্তাহ প্রযন্ত নিয়ন্ত্রিত হারে বাড়তে থাকে, এসময়ে হৃদস্পন্দন হার প্রতি মিনিটে ১৭০ থেকে ২০০ এর মধ্যে হয়ে থাকে।

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে?

(৯) নয় সপ্তাহ পরে আবার হৃদস্পন্দন হার কমতে থাকে ১২০ থেকে ১৬০ মধ্যে হয়ে থাকে। প্রসাব প্রকৃয়া শুরুর পরে ছেলে শিশুদের তুলনায় মেয়ে শিশুদের হৃদস্পন্দন হার বেশী থাকে।

৪। সকালবেলা বেশী অসুস্থতা দেখা যায়ঃ

গর্ভবতী মায়েদের সকালবেলা বমি ও বমি-বমি ভাব বেশী দেখা যায় এটি হলো সাধারণ একটি উপসর্গ মাত্র। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম ৪ সপ্তাহে মানে (১মাসে) এই লক্ষন বেশী দেখা যায়, এই বিষয়টি দেখলে বুঝতে হবে বউ গর্ভবতী হয়েছে। রক্ত শর্করা কমে গেলে অথবা হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে গর্ভবতী নারী সকালবেলা অসুস্থতা অনুভব করতে পারে। অনেকেই মনে করেন যে গর্ভবতী নারী সকালবেলার সময়টাতে যদি বেশীই অসুস্থতায় ভোগেন তাহলে কন্যা বা মেয়ে সন্তান জন্ম হবে, কিন্তু এটিও কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই (বুড়ো বুড়িদের মনগড়া মতামত)

৫। গর্ভাবস্থ নারীর নিচু পেট হলেঃ

অনেকেই মনে করে থাকেন যে, গর্ভবতী নারীর পেট যদি নিচু হয়ে থাকে মানে খুব বেশী উচু না দেখায় তাহলে ছেলে সন্তান হবে। এটি একবারেই ভ্রান্ত ধারনা আসলে ২য় বা ৩য় বার গর্ভবতী হলে তখন সেই নারীর পেট ১ম বার গর্ভবতী হওয়ার চেয়ে কম উচু হতে পারে, বা অধিকাংশ মহিলাদের এমনই দেখা যায় এটি দিয়ে লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়না।

৬। গর্ভাবস্থ অবস্থায় যদি পেটের সন্তানটা একটু নিচের দিকে থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার পুত্র সন্তান হবে।

৭। গর্ভবতী নারীর তলপেট যদি সামনের দিকে ভার থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।
৮। গর্ভবতী নারীর তলপেট যদি সামনের দিকে ভার থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।

৯। অন্তঃস্তত্ত্বা থাকাকালীন সময়ে আপনার ডাকদিকের স্তনটির সাইজ যদি বামদিকের টির তুলনায় বেশী বড় হয়ে থাকে প্রাকৃতিক ভাবে, তাহলে আপনার ছেলে সন্তান হবে।

১০। অন্তঃসত্ত্বা অবস্হায় যদি আপনার বামদিকে ফিরে ঘুমাতে ভালো লাগে তাহলে আপনার পুত্র সন্তান হবে।
১১। গর্ভবতী অবস্থায় আপনার চুল যদি গ্লসি, চকচকে হয় তাহলে আপনার ছেলে সন্তান হবে।
১২। ছেলে সন্তান হলে গর্ভবতী নারীর চুল লম্বা হয়।

মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ গুলোঃ

১। মিষ্টি খাবার খাওয়ার প্রবনতা বেশী দেখা যায়।
২। গর্ভাবস্থ নারী সকালবেলা বেশী অসুস্থ হলে।
৩। গর্ভবতী নারীর পেটের বাচ্চার দ্রুত হৃদস্পন্দন হার বেশী হলে।

৪। গর্ভাবস্থ নারীর উচু পেট হলেঃ  অনেকেই মনে করেন গর্ভবতী নারীর পেট যদি উচু বেশী হয়ে থাকে তাহলে মেয়ে সন্তান জন্ম লাভ করবে, কিন্তু এটি একবারেই ভুল ধারনা। নারীর শারিরীক গঠন যদি ভালো হয়ে থাকে তাহলে প্রথমবার গর্ভবতী হলে তার পেট একটু বেশীই উচু হয়ে থাকে। এর কারন হলো নারীর শরীরের আকৃতি, গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি এবং পেটের পেশী এসবের কারনেই পেট বেশী উচুঁ হতে পারে। এসবের সাথে বাচ্চার লিঙ্গ, নির্ধারণের কোনো যোগসুত্র নেই।

৫। ত্বকে ব্রন ও তৈলাক্ততা দেখা গেলে।
গর্ভাবস্থ অবস্থায় যদি পেটের সন্তানটা একটু উপরে দিকে থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার কন্যা সন্তান হবে।
৬। গর্ভবতী নারীর তলপেট যদি মাঝের দিকে ভার থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার মেয়ে সন্তান হবে।

৭।  অন্তঃস্তত্ত্বা থাকাকালীন সময়ে আপনার বাম দিকের স্তনটির সাইজ যদি ডানদিকের টির তুলনায় বেশী বড় হয়ে থাকে প্রাকৃতিক ভাবে তাহলে আপনার কন্যা সন্তান হবে।
৮। অন্তঃসত্ত্বা অবস্হায় যদি আপনার ডানদিকে ফিরে ঘুমাতে ভালো লাগে তাহলে আপনার কন্যা সন্তান হবে।
৯। গর্ভবতী অবস্থায় আপনার চুল যদি দূর্বল, পাতলা, উজ্জ্বল শুন্যতা হয় তাহলে আপনার মেয়ে সন্তান হবে।
১০। মেয়ে সন্তান হলে গর্ভবতী নারীর চুল উঠে যায়।

(এই তথ্যগুলোর বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমান নেই, এগুলো মিলিয়ে কোনো মা বোন হতাশ হবেননা। এগুলো অনেক যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশের বুড়ো মা, চাচি, দাদি, নানিরা বলে এসেছেন)