সংক্ষিপ্ত আকারের চারটি সায়েন্স ফিকশন গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে অঁহক; খুবই চমৎকার একটি বই, গল্পগুলো পড়ে কখনো হাসবেন আবার কখনো ভয়ে শিহরিত হয়ে উঠবেন। বইটির চারটি গল্প সম্পর্কে একটু ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
১। অঁহকঃ মহাশূন্যের সবচেয়ে দয়ালু প্রানীর নাম হলো অঁহক। ভাঙ্গা যন্ত্রাংশ ঠিক করা এবং আহত প্রানীর চিকিৎসা করাই হলো উন্নত বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এই প্রানীগোষ্ঠীর সবচাইতে প্রিয় কাজ।
২। যাদুকরঃ ক্লাস সেভেনের ছাত্র বাবলু হাফ ইয়ারলি পরীক্ষায় অঙ্কে পেয়েছে সাড়ে আট। সাড়ে আট পাওয়ার শাস্তি হিসেবে তার শিক্ষক ঘন্টা ক্লাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেঞ্চের উপরে দাড় করে রেখেছেন বাবলুকে। ধীরেন স্যার তার পরীক্ষার খাতায় বড় বড় অক্ষরে লাল কালি দিয়ে গরু লিখে দিয়েছেন।
ক্লাসে এতো অপমান করলো ধীরেন স্যার বাবুলকে কিন্তু তা গায়ে মাখেনি বাবুল, কিন্তু সমস্যা হল বাবলুর বদরাগী বাবা। উনার রাগের কাছে ধীরেন স্যারতো নিতান্তই শিশু। এমতাবস্থায় বাসায় যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা, তাই স্কুল ছুটির পর বাবলুর আশ্রয়স্থল হল সরকার বাড়ির জামগাছ।
৩। কুদ্দুসের একদিনঃ কুদ্দুস পত্রিকা অফিসে চাপরাসীর চাকরি করে। একদিন লিফটে উঠার পর সে বুঝতে পারলো যে লিফটটা বন্ধ হয়ে আছে, তার উপর চলে গেছে বিদ্যুৎ। অন্ধকারে লিফটের মধ্যে সম্পূর্ণ একা কুদ্দুস, খানিকটা ভীত হয়ে পড়ছিলো বেচারা। এবং বের হওয়ার চেষ্টায় অস্থির কুদ্দুস এরপর লিফট থেকে বের হলো। কুদ্দুস লিফট থেকে বের হয়ে তীব্র ভয়ে চমকে উঠলো, নিশ্চিত হওয়ার পরিবর্তে আরো আতঙ্ক হয়ে উঠলো।
৪। সম্পর্কঃ ভাত খেতে বসে তরকারি দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল ষ্টেশনমাস্টার মোবারক হোসেনের। স্ত্রীর উপর রাগ করে, না খেয়েই বেরিয়ে গেলেন ষ্টেশনমাস্টার। উদ্ধেশ্য ছিলো স্ত্রীকে রাগের মাত্রা বোঝানোর জন্য রেলষ্টেশনে রাতটা কাটাবেন।
বইয়ের নামঃ অঁহক
বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
বইয়ের ধরনঃ সায়েন্স ফিকশন
পিডিএফ সাইজঃ ২ মেগাবাইট প্রায়।
ডাউনলোডঃ
#বইটি ইন্টারনেট থেকে সংগীত। #লেখকের ক্ষতি আমাদের কাম্য নয়, বইটির হার্ড কপি কেনার সমর্থ থাকলে বইটির হার্ড কপি কিনে পড়ুন।
আমাদের ব্লগে আপনার কোনো যদি পিডিএফ থাকে, আপনার অভিযোগ থাকলে আমাদের জানানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যে রিমুভ করে দিবো। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ পোস্ট টি পড়ার জন্য।